ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালডোর বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষণের এক মামলা খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার লাস ভেগাসের আদালতের বিচারক জেনিফার ডরসি এই রায় ঘোষণা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বিচারক ৪২ পৃষ্ঠার রায়ে বলেছেন, ফাঁস হওয়া চুরি করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। রোনালডোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।
নেভেদার নাগরিক ক্যাথরিন মায়ারগোর অভিযোগ, লাস ভেগাসের এক হোটেলে ২০০৯ সালে রোনালডো তাকে ধর্ষণ করেন। ৩৭ বছর বয়সী এই নারী পেশায় একজন শিক্ষিকা ছিলেন।
বিবিসি বলছে, ফুটবল তারকা রোনালডো শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এ ব্যাপারে মায়ারগো যেন মুখ না খোলেন সে জন্য আদালতের বাইরে তার সঙ্গে ২০১০ সালে আপস করা হয়। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রোনালডো আদালতের বাইরে আপসের জন্য মায়োরগাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন বলে তথ্য রয়েছে। তবে ২০১৮ সালে আবারও একই অভিযোগ তোলেন মায়ারগো।
ক্লার্ক কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিস জানায়, ২০০৯ সালে ওই নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন। কিন্তু ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে একাধিকবার ব্যালন ডর অ্যাওয়ার্ড জেতা রোনালডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে খেলার সময় মায়ারগোর আইনজীবী জানান, মি টু আন্দোলন শুরু হলে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিযোগ আনেন মায়ারগো।
২০১৮ সালের আগস্টে মায়ারগোর অনুরোধে লাস ভেগাসের পুলিশ সদস্যরা এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। সে বছর জার্মান সাপ্তাহিক পত্রিকা দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনে প্রথম এই ধর্ষণের অভিযোগের খবর আসে।
ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও রোনালডো জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যে দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তাদের মধ্যে যা ঘটেছে তা উভয়ের সম্মতিতেই ঘটেছে বলে দাবি তার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।